Infrastructure অবকাঠামো

স্থল শুল্ক স্টেশন /স্থল বন্দর সমূহ

৪ জুন ২০১০ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যে সুবিধার জন্য ভারত সরকারেরঅর্থমন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বিভাগ ৫০টি ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন (এলসিএস)-এর ঘোষণা প্রদানকরে [বিজ্ঞপ্তি নম্বর-৪৫/২০১০-শুল্ক (এন.টি.)।
বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ১৮১টি ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনের ঘোষণা দিয়েছে।যদিও তার মধ্যে মাত্র ২৭টি কার্যকরী রয়েছে।

অতিরিক্ত সুবিধার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনগুলো স্থল বন্দর হিসেবে ব্যবহৃতহচ্ছে। 

 আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের সুবিধার জন্য ২০০১ সালে নৌ মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশস্থল বন্দর কতৃপক্ষ (বিএলপিএ) প্রতিষ্ঠিত হয়। স্থল বন্দর দিয়ে আমদানির উপর শুল্ক রাজস্বআদায় সহজ করতে বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের মালবাহী গাড়ি ও গুদামজাতকরণতদারক করার অনুমতি রয়েছে।  

ভারতে আন্তঃসীমান্ত মানুষ ও পণ্য চলাচলে আরও দক্ষ প্রশাসন ও সমন্বিত ব্যবস্থাপনার জন্যস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান রূপে২০১০ সালে ভারত স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ (এলপিএআই) প্রতিষ্ঠিত হয়। এলপিএআই-এর অন্যতমএকটি কাজ হল সমন্বিত চেক পোস্টগুলোর নির্মাণ, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ তদারক এবংনিয়ন্ত্রণ করা।

ভারতের ৫১টি ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনের সাথে সংযুক্ত বাংলাদেশের ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনগুলো এবং বাণিজ্যের জন্য অনুমতি প্রাপ্ত পণ্য সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রধান প্রধান এলওসি-এর অবস্থান জানতে এখানে ক্লিক করুন।

ভারত-বাংলাদেশের ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনগুলো যেখানে কর্ম-ঘন্টা ও কর্ম-দিবস একীভূতকরা হয়, তা জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

সমন্বিত চেক পোস্টসমূহ

সীমান্তের উভয় পাশের বিদ্যমান অপর্যাপ্ত অবকাঠামো এবং সহযোগিতার ঘাটতি দূরীকরণ এবং ব্যবসায়ীদের বর্ধিত চাহিদা মেটাতে ভারত সরকার স্থল সীমান্তের প্রধান প্রধান প্রবেশ পথগুলোতে সমন্বিত চেক পোস্টগুলো গড়ে তুলছে।

সকল প্রকার নিয়ন্ত্রণকারী এজেন্সি যেমন- বহির্গমন, শুল্ক, সীমান্ত রক্ষী ইত্যাদি আইসিপিগুলোর অন্তর্ভুক্ত। এই আইসিপিগুলো পর্যাপ্ত শুল্ক ও বহির্গমন কাউন্টার, এক্স-রে, স্ক্যানার,যাত্রীদের প্রয়োজনীয় জিনিস এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধাদি যেমন- পার্কিং, গুদামজাতকরণ,ব্যাংকিং, সার্ভিস স্টেশন, জ্বালানি স্টেশন ইত্যাদি সরবারহ সুবিধাসহ যাত্রী ও মালবাহীগাড়ির টার্মিনালগুলো নিয়ে একটি আধুনিক কমপ্লেক্সের মধ্যে অত্যাধুনিক সকল সুবিধা সম্বলিতসুরক্ষিত এলাকা।

সাতটি সমন্বিত চেক পোস্টকে দুইটি পর্যায়ে সাজানো হয়েছে:

পর্যায়-১:

  • পশ্চিম বঙ্গের পেট্রাপোল (বাংলাদেশের বেনাপোলের সঙ্গে সম্পৃক্ত)
  • মেঘালয়ের ডাউকি (বাংলাদেশের তামাবিলের সঙ্গে সম্পৃক্ত)
  • ত্রিপুরার আগরতলা (বাংলাদেশের আখাউড়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত) 

পর্যায়-২:

  • হিলি, পশ্চিমবঙ্গ (বাংলাদেশের হিলির সাথে সম্পৃক্ত)
  • চ্যাংড়াবান্ধা, পশ্চিমবঙ্গ ( বাংলাদেশের বুড়িমারীর সঙ্গে সম্পৃক্ত)
  • সুতারকান্দি, আসাম (বাংলাদেশের শেওলার সঙ্গে সম্পৃক্ত)
  • কাওয়াড়পুচিয়া, মিজোরাম (বাংলাদেশের তেগামুখের সঙ্গে সম্পৃক্ত) 

সীমান্ত ফাঁড়ি

২০১০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে ভারত ও বাংলাদেশ স্থানীয় বাজারের মাধ্যমে স্থানীয় পণ্যসামগ্রীবাজারজাতকরণে বিদ্যমান প্রক্রিয়া পুনঃ সচল করতে পরীক্ষামূলকভাবে সীমান্ত জুড়ে নির্ধারিত এলাকায় সীমান্ত ফাঁড়ি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১০সালের অক্টোবরে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত ফাঁড়ির উপর একটি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হয়।

স্মারক টি দেখতে এমওইউ অন বর্ডার হাটস এবং এডেন্ডাম টু মোড অফ অপারেশনস অফ বর্ডার হাটস -এ ক্লিক করুন।

দুইটি সীমান্ত ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে:
কলাইচর (মেঘালয়, ভারত- বালিয়ামারী (কুড়িগ্রাম, বাংলাদেশ) এবং
দোলরা (সুনামগঞ্জ, বাংলাদেশ- বলাত (মেঘালয়, ভারত।

১৭ জানুয়ারি ২০১৫ ত্রিপুরা বর্ডারে শ্রীনগর সীমান্ত ফাঁড়ি উদ্বোধন করা হয়। ত্রিপুরা বাংলাদেশ সীমান্তের কমলাসাগর, পালবস্তি এবং কামালপুরে আরওতিনটি সীমান্ত ফাঁড়ির প্রস্তাবনা রয়েছে।

সীমান্ত ফাঁড়ি দিয়ে বাণিজ্যের অনুমতি প্রাপ্ত পণ্যসমূহ হল:
০১. শাকসবজি, খাদ্য সামগ্রী, ফলমূল, মসলা; 
০২. কম গুরুত্বপূর্ণ বন থেকে সংগৃহীত পণ্য যেমন- বাঁশ, বাঁশ জাতীয় ঘাস এবং ঝাড়ু, কিন্তু কাঠের-গুড়ি ব্যতীত।
০৩. কুটির শিল্প পণ্য যেমন-গামছা, লুঙ্গি ইত্যাদি।
০৪. ছোটোখাটো গৃহস্থালি কৃষিজ সরঞ্জামাদী যেমন- দাউ, লাঙ্গল, কুঠার, কোদাল, বাটালি ইত্যাদি।
০৫. বস্ত্র, মেলামাইন সামগ্রী, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য সামগ্রী, ফলের রস, প্রসাধন দ্রব্য, কসমেটিকস, প্লাস্টিক পণ্য, এলুমিনিয়াম পণ্য, রন্ধন সামগ্রী।

প্রত্যেক ব্যক্তি তার একান্ত ব্যক্তিগত/পারিবারিক ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতে উৎপন্ন দ্রব্য সামগ্রী কিনতে পারে। সীমান্ত ফাঁড়িগুলোতে এইপণ্যসামগ্রী স্থানীয় মুদ্রা মানে অথবা পণ্য দিয়ে পণ্য বিনিময়ের মাধ্যমে বিনিময় করা যায়। এই সকল ক্রয়ের বরাদ্দকৃত মূল্য একটি নির্দিষ্ট দিনের জন্য১০০ মার্কিন ডলারের স্থানীয় মুদ্রামানের বেশি হতে পারবেনা। সীমান্ত ফাঁড়িগুলোতে বিক্রিত পণ্যের শুল্ক পরিশোধের পরে অবমুক্ত করা যায়।

বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজেস ইনস্টিটিউট দুইটি কার্যকরী সীমান্ত ফাঁড়ির উপর গবেষণা করেছে। বিস্তারিত রিপোর্টের জন্য এখানে ক্লিক  করুন।

****