HC Pranay Verma addressed MOFA hosted event “G20 Summit : Dhaka to New Delhi” সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ইভেন্ট "জি২০ সামিট : ঢাকা টু নিউ দিল্লি" - এ বক্তব্য প্রদান করেন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ইভেন্ট "জি২০ সামিট : ঢাকা টু নিউ দিল্লি" - এ বক্তব্য প্রদান করেন

হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা ৩১ আগস্টে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে ভারতের প্রেসিডেন্সির অধীনে ৯-১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩-এ নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আয়োজিত "জি২০ সামিট : ঢাকা টু নিউ দিল্লি" শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সভাপতিত্ব করেন এবং কূটনৈতিক কোরের সদস্যগণ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে যোগদান করেন।

হাই কমিশনার ভার্মা তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন যে, ভারত জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে উন্মুখ। তিনি উল্লেখ করেন যে এই বছর ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সি চলাকালে অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে অংশগ্রহণের জন্য ভারতের আমন্ত্রণ শুধুমাত্র ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের যে গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে তা নয়, বরং ভারতের এই বিশ্বাসকেও তুলে ধরে যে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা ও ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা জি-২০ আলোচনাসমূহে মূল্য যোগ করতে পারঙ্গম।

হাই কমিশনার ভার্মা, ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী ও বিশেষ বন্ধু হিসেবে, সারা বছর ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জি-২০ আলোচনায় সক্রিয়ভাবে যোগদান ও সমৃদ্ধি আনয়ন করার জন্য এবং ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সিকে দুর্দান্তভাবে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

হাই কমিশনার পর্যবেক্ষণ করেছেন যে ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সি এমন এক সময়ে উপনীত হয় যখন বিশ্বব্যাপী পুনরুদ্ধার কার্যক্রম সাপ্লাই চেইনে বিঘ্ন, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য ও শক্তি নিরাপত্তা ঝুঁকি, ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, মুদ্রাস্ফীতি, এবং একটি ক্রমবর্ধমান ঋণ সঙ্কটসহ অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে কোভিড-১৯ অতিমারির ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে - যার সবগুলোই বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি করে অনিশ্চয়তার দিকে পরিচালিত করেছে। জি২০ প্রেসিডেন্সি এজেন্ডা সেট করার এবং এই কঠিন সময়ে সামগ্রিক কল্যাণের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ভারতের সক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি। হাই কমিশনার ভার্মা উল্লেখ করেন, এটি করার সময় ভারত গ্লোবাল সাউথের আকাঙ্ক্ষা ও দৃষ্টিভঙ্গিকে জি-২০-এর অগ্রাধিকার ও আলোচনায় আনার জন্য বিশেষ প্রচেষ্টা চালিয়েছে। তিনি এ লক্ষ্যে এ বছর জি-২০-তে বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে একটি মূল্যবান অবদান বলে বর্ণনা করেন।

হাই কমিশনার যোগ করেন যে, তার জি-২০ প্রেসিডেন্সি চলাকালীন সময়ে, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গ্রিন গ্রোথ-এর দিকে মনোনিবেশ করে, প্রধানমন্ত্রী মোদির "লাইফস্টাইল ফর এনভায়রনমেন্ট"-এর ভিশনের মাধ্যমে জলবায়ুবিষয়ক কর্মকাণ্ড অনুসরণ করে, দুর্যোগের স্থিতিস্থাপকতা, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিতে রূপান্তর, জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য প্রযুক্তি স্থাপন ও সংস্কারকৃত বহুপাক্ষিকতা গঠন করে ভারত "এক পৃথিবী, একটি পরিবার, একটি ভবিষ্যত"-এর দর্শনের ওপর ভিত্তি করে বৈশ্বিক এজেন্ডাকে রূপদান করার প্রয়াস চালাচ্ছে। হাই কমিশনার জোর দিয়ে বলেন যে, ভারত এই ধারণাগুলোকে বাস্তবে রূপান্তর করতে বাংলাদেশের সমর্থনের উপর নির্ভর করে।

এই অনুষ্ঠানে ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সির তিনটি প্রধান অগ্রাধিকার-সংক্রান্ত বিষয়ে কূটনীতিকবৃন্দ, কর্মকর্তাগণ এবং বিশেষজ্ঞগণের প্যানেল আলোচনা অন্তর্ভুক্ত ছিল: নারী-নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন, ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার, লাইফস্টাইল ফর এনভায়রনমেন্ট (লাইফ) এবং গ্রিন ডেভেলপমেন্ট।