HC laid the foundation stone of Knowledge Park at Chattogram সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

হাই কমিশনার চট্টগ্রামে ভারতীয় সরকারের রেয়াতি লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় বাসবায়নাধীন নলেজ পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন

ভারতীয় হাই কমিশন

ঢাকা

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

হাই কমিশনার চট্টগ্রামে ভারতীয় সরকারের রেয়াতি লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় বাসবায়নাধীন নলেজ পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন

১.  হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক যৌথভাবে ২৭ আগস্ট ২০২৩-এ চট্টগ্রামে নলেজ পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যা ভারত সরকারের অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে। চট্টগ্রামের আইটি পার্কটি প্রায় ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যায়ে ভারত সরকারের রেয়াতি লাইন অব ক্রেডিট-এর অধীনে বাংলাদেশের ১২টি জেলায় আইটি/হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের অংশ।

২.  হাই কমিশনার ভার্মা এই অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যে আইসিটি সেক্টরে ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতার ক্ষেত্রে এই প্রকল্পের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং আশা ব্যক্ত করেন যে, এটি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত অংশীদারত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। প্রকল্পটি ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের স্বপ্নকেও এগিয়ে নিয়ে যাবে।

৩.  হাই কমিশনার ভার্মা আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেন যে, এই আইটি পার্কসমূহ স্ট্যান্ডার্ড প্রতিষ্ঠা, হাব ও ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরি, উদ্যোক্তা বিকাশ এবং ইন্টারনেট অব থিংস, মেশিন লার্নিং, রোবোটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এক্সটেন্ডেড রিয়ালিটি এবং অন্যান্য নতুন উন্নত ও অত্যাধুনিক বিষয়ের মতো উদীয়মান প্রযুক্তিসমূহে সক্ষমতা সৃষ্টিতে সহায়তা করে বাংলাদেশে আইটি শিল্প এবং আইটি-এনাবেলড্‌ সার্ভিসসমূহের উন্নয়নে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। তিনি আরও যোগ করেন যে, আইটি পার্কসমূহ প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষ জনশক্তিকে প্রতিপালন করবে, যা ২১ শতকে আমাদের অর্থনীতির দ্রুত বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। প্রতিটি পার্ক ৩০০০ জনের জন্য সরাসরি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং প্রতি বছর ১০০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই পার্কগুলো থেকে প্রাপ্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সুবিধাসমূহ রূপান্তরমূলক হবে৷ এটাও উল্লেখযোগ্য যে, এই প্রকল্পে গ্রিন বিল্ডিং নির্মাণ করা হবে, যা বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব।

৪.  বাণিজ্য ও পরিবহণ সংযুক্তি এবং জ্বালানি সংযুক্তিকে ছাড়িয়ে গিয়ে, ডিজিটাল সংযুক্তি হলো ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারত্বের একটি দ্রুত উদীয়মান মাত্রা। এই প্রেক্ষাপটে, হাই কমিশনার ভারত ও বাংলাদেশের স্টার্টআপ সম্প্রদায়সমূহকে সংযুক্ত করতে সম্প্রতি চালু হওয়া ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ স্টার্টআপ ব্রিজ-এর মতো নতুন উদ্যোগের পাশাপাশি দুই দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমকে সংযুক্ত করার প্রস্তাব তুলে ধরেন।

৫.  এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও আইটি প্রফেশনালগণ, নারী উদ্যোক্তাবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীগণ ও অন্যান্য অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা
২৭ আগস্ট ২০২৩