First Cargo Ship from Bhutan to Bangladesh via India received at Narayanganj সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

ভুটান থেকে বাংলাদেশে প্রথম পণ্যবাহী জাহাজ ভারত হয়ে নারায়ণগঞ্জে পৌঁছেছে

ভারতীয় হাই কমিশন

ঢাকা

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

ভুটান থেকে বাংলাদেশে প্রথম পণ্যবাহী জাহাজ ভারত হয়ে নারায়ণগঞ্জে পৌঁছেছে

ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য পরিবহনের জন্য প্রথম ভারতীয় নৌপথ ব্যবহার

প্রথমবারের মত ভুটান থেকে পাথরবাহী একটি ভারতীয় জাহাজ ধুবরি থেকে যাত্রা শুরু করে ১৬ জুলাই বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে এসে পৌঁছেছে। এ উপলক্ষ্যে ১৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন যেখানে ইন্দো-বাংলা প্রটোকল রুট ব্যবহার করে আসা প্রথম চালানটি গ্রহণ করেন মাননীয় ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রীমতী রীভা গাঙ্গুলি দাশ, ভুটানের মাননীয় রাষ্ট্রদূত সোনম টি. রাবগি এবং বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব সাফওয়ান সোবহান।

ভারতের মাননীয় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী শ্রী মনসুখ মাণ্ডব্য ১২ জুলাই ডিজিটালভাবে এমভি এএআই নামের ভারতের অভ্যন্তরীণ নৌ কর্তৃপক্ষের এই জাহাজটির যাত্রা সূচনা করেন। এরপর জাহাজটি আসামের ধুবরি থেকে যাত্রা করে এবং ব্রহ্মপুত্র নদীর উপর দিয়ে নারায়ণগঞ্জে পৌঁছায়। ২০১৮ সালের অক্টোবরে ধুবরিকে নদীবন্দর ঘোষণা করা হয়। এই প্রথমবারের মতো ভারতীয় নৌপথ ও ভারতকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে দুই দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহণ করা হচ্ছে।

আসামের ধুবরি বন্দর থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে ভুটানের ফুয়েন্টশোলিং থেকে ট্রাকে করে পাথর আনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভুটান স্থলপথ ব্যবহার করে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পাথর রপ্তানি করে আসছে। জাহাজটি ১০০০ মেট্রিক টন পাথর পরিবহন করছে, যা স্থলপথে পরিবহন করতে ৫০টিরও বেশিট্রাক প্রয়োজন হতো।

নৌপরিবহন মন্ত্রী শ্রী মাণ্ডব্য বলেন, এই উন্নয়ন ঐতিহাসিক যার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ নৌপথে পণ্য পরিবহন বৃদ্ধির প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর লক্ষ্য পূরণে হয়েছে। তিনি বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভারত, ভুটান এবং বাংলাদেশ উপকৃত হবে এবং প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। তিনি বলেন, এই রুটের মধ্য দিয়ে পণ্য পরিবহনের ফলে ৮ থেকে ১০ দিন সময় সাশ্রয় হবে, পরিবহণ খরচ কমবে ৩০ শতাংশ এবং অন্যান্য খরচও কমবে। এছাড়া্ও এটি পরিবহনের জন্য একটি পরিবেশবান্ধব উপায়। শ্রী মাণ্ডব্য আরও বলেন যে, এটি ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যের জন্য একটি বিকল্প পথ উন্মুক্ত করবে, যার মাধ্যমে দেশের অন্যান্য অংশ থেকে এই স্থানে পণ্য পৌঁছানো সহজ ও সাশ্রয়ী হবে।

ভারতের অভ্যন্তরীণ নৌ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জানান, ন্যাভিগেশন চ্যানেলে নাব্যতা বজায় রাখার জন্য ড্রেজিং করা হয়েছে এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী ড্রেজিং করা হবে। এছাড়াও ভারত সরকার অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় নৌপথ ব্যবহার বৃদ্ধি করে পণ্য পরিবহনের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। ভারত-বাংলাদেশে ফেয়ারওয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে আশুগঞ্জ-জকিগঞ্জ রুটের ড্রেজিং কাজও চলমান রয়েছে।

ঢাকা

১৮ জুলাই ২০১৯

 

****