Seminar on  "Improved Connectivity: Unlocking Economic Potential between India & Bangladesh" সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

‘উন্নত সংযোগ: ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা উন্মোচন’ শীর্ষক সেমিনার – ১৬ মার্চ, ২০২৩

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

‘উন্নত সংযোগ: ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা উন্মোচন’ শীর্ষক সেমিনার – ১৬ মার্চ, ২০২৩

১.  ভারতীয় হাই কমিশন, ঢাকা ‘উন্নত সংযোগ: ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা উন্মোচন’ শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করে, যার সহযোগী ছিল ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। অনুষ্ঠানটির যৌথ আয়োজক ছিলেন মাননীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা ও ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার সমীর সাত্তার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় ড. মশিউর রহমান, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা।

২.  হাই কমিশনার তাঁর বক্তব্যে সমৃদ্ধির চালিকাশক্তি হিসেবে উন্নত যোগাযোগের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহসহ ভারতীয় রাজ্যগুলোকে বাংলাদেশের সাথে সংযুক্ত করার জন্য বিভিন্ন সংযোগ উদ্যোগের উদ্দেশ্য দুই দেশের মধ্যে আন্তঃনির্ভরতা জোরদার করা এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহ্যগতভাবে সুসংহত ইতিহাস, ভূগোল ও আর্থ-সামাজিক বন্ধনের পূর্ণতর সদ্বব্যবহার করা। তিনি জানান যে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে ভৌগোলিক নৈকট্যের কারণে, বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ ও উত্তর-পূর্বের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বাংলাদেশ সেরা অবস্থানে রয়েছে।

৩.  হাই কমিশনার ভার্মা দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে রূপান্তরিত করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, বিগত পাঁচ বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে এবং গত অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছানোতে ভারত এশিয়ায় বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য হয়ে উঠেছে।

৪.  হাই কমিশনার উভয় পক্ষ কর্তৃক আলোচনায় সম্মত হওয়া কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সেপা)-র গুরুত্ব এবং একটি নতুন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও সাপ্লাই চেইন সংযোগ তৈরি করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়ানোর সম্ভাবনার ওপর জোর দেন। তিনি উভয় দেশের দ্রুত প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের দ্বারা উদ্বুদ্ধ দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সীমান্তে উন্নত সংযোগ ও বাণিজ্য অবকাঠামোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন। এই প্রসঙ্গে তিনি আইসিপি পেট্রাপোল-বেনাপোলের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে রেলওয়ে অবকাঠামো বৃদ্ধি করার জন্য বিশেষ করে ট্র্যাক ও সিগন্যালিং উভয় ক্ষেত্রে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর ওপর বিশেষ জোর দেন, কারণ রেলভিত্তিক পরিবহণ অর্থনৈতিক দক্ষতা ও রিটার্নের ওপর বহুগুণ প্রভাব ফেলে। তিনি অন্যান্য স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিধিনিষেধবিহীন বন্দরের সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও কথা বলেন, যা স্থলবন্দরে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে।

৫. হাই কমিশনার বাণিজ্য অবকাঠামো ও লজিস্টিক উন্নয়নে উভয় দেশের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগসমূহের কথা তুলে ধরেন। তিনি সড়ক, রেলপথ, অভ্যন্তরীণ নৌপথ ও উপকূলীয় শিপিং-সহ এই উপ-অঞ্চলের বৃহত্তর সহযোগিতা, একীভূতকরণ ও বহুমাত্রিক সংযোগের প্রয়োজনীয়তার উপর বিশেষ জোর দেন। তিনি খুব শীঘ্রই উদ্বোধন হতে চলা ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের বিষয়েও কথা বলেন, যা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ, যেটি উত্তর বাংলাদেশে ডিজেল সরবরাহের প্রকৃতিকে পরিবর্তিত করবে এবং এই অঞ্চল ও দেশে আরও উন্নয়নে সহায়তা করবে।

৬.  এই সেমিনারে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্যগণ, শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ী চেম্বার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা
মার্চ ১৬, ২০২৩