রথ যাত্রা - ২০২২

বিবৃতি ও বক্তৃতা

রথ যাত্রা - ২০২২

বক্তব্য

নমস্কার

()       আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি

()       বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ; এবং প্রিয় ভক্তগণ,

(৩)       রথযাত্রা উপলক্ষে আমি আয়োজকদের এবং আপনাদেরকে আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাই।

(৪)       এই ধর্মীয় উৎসবটি আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার পূর্বাঞ্চলের মানুষের ঐতিহ্য ও বিশ্বাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের সমৃদ্ধি এবং প্রাণের স্পন্দন উদযাপনের একটি উপলক্ষ। এই উৎসব উভয় দেশের যৌথ সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই আনন্দঘন আয়োজনে সাধারণ মানুষ একসাথে সামিল হয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে।

(৫)       রথযাত্রা দুটি জরুরি বিষয়কে নির্দেশ করে। প্রথমটি হল বাহ্যিক দিক। রথযাত্রার সময়, দেব-দেবীর প্রতিমাকে বাইরে নেয়া হয় যাতে করে জনগণ তাদের দেখতে ও পূজা করতে পারে, যেটা অধিকাংশ ঐতিহ্যবাহী হিন্দু উৎসবে মন্দির বা ‘মন্ডপ’-এ গিয়ে উপাসনা করার সাধারণ রীতির বিপরীত।

(৬)       এটার আরেকটি দিক হল আধ্যাত্মিক বা অভ্যন্তরীণ অংশ। ঐতিহ্য অনুযায়ী রথযাত্রা হল এমন একটি প্রক্রিয়ার অংশ যার মাধ্যমে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর এবং মানবজাতি একে অপরের দিকে আধ্যাত্মিকভাবে যাত্রা করে ভক্তির পথে পুনরায় মিলিত হওয়ার জন্য। এই সমারোহ, রঙ এবং শোভাযাত্রা ঐশ্বরিক আনন্দের অনুভূতি এবং সর্বশক্তিমানের জন্য আধ্যাত্মিক আকাংক্ষাকে প্রতিফলিত করে। এই অনুভূতি এই বছরের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রযোজ্য, কারণ কোভিড মহামারীর জন্য দুই বছর ধরে রথযাত্রার আয়োজন বন্ধ ছিল।

(৭)        ইসকনকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, যার খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠাতা ভক্তিবেদান্ত এসি স্বামী প্রভুপাদ ১৯৬৭ সালে ভারতের বাইরে প্রথম জনসাধারণের জন্য রথযাত্রা করেছিলেন সান ফ্রান্সিসকোতে। এর ফলে, ভারত ও বাংলাদেশে প্রচলিত এই অনন্য উৎসবের ঐতিহ্যটি বিশ্বব্যাপী চালু হয়েছিল।

(৮)       শেষ করার আগে, আমি এই বছরের বার্ষিক রথযাত্রা উৎসবে যোগ দিতে আসা সবাইকে আমার শুভেচ্ছা জানাই। এই উৎসবের উদযাপন বছরের পর বছর বাড়তে থাকুক এবং আমরা সকলের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি দেখার সৌভাগ্য লাভ করি।।

()       অনেক অনেক ধন্যবাদ

            ধন্যবাদ

***

বক্তব্য

ড. শামসুল আলম, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়;

মে. জে. জীবন কানাই দাস (অব.), সভাপতি, শ্রী শ্রী যশোমাধব মন্দির কমিটি, ধামরাই, ঢাকা;

জনাব বেনজীর আহমেদ, মাননীয় এমপি, ঢাকা-২০;

আলহাজ্ব গোলাম কবির, মেয়র, ধামরাই পৌরসভা;

এম. এ. মালেক, সাবেক এমপি;

রাজীব প্রসাদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক, শ্রী শ্রী যশোমাধব মন্দির কমিটি, ধামরাই, ঢাকা

 নমস্কার

()       আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি

()       বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ; এবং প্রিয় ভক্তগণ,

(৩)       রথযাত্রা উপলক্ষে আমি আয়োজকদের এবং আপনাকে আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাই।

(৪)       এই ধর্মীয় উৎসবটি আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার পূর্বাঞ্চলের মানুষের ঐতিহ্য ও বিশ্বাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের সমৃদ্ধি এবং প্রাণের স্পন্দন উদযাপনের একটি উপলক্ষ। এই উৎসব উভয় দেশের যৌথ সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই আনন্দঘন আয়োজনে সাধারণ মানুষ একসাথে সামিল হয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে।

(৫)       রথযাত্রা দুটি জরুরি বিষয়কে নির্দেশ করে। প্রথমটি হল বাহ্যিক দিক। রথযাত্রার সময়, দেব-দেবীর প্রতিমাকে বাইরে নেয়া হয় যাতে করে জনগণ তাদের দেখতে ও পূজা করতে পারে, যেটা অধিকাংশ ঐতিহ্যবাহী হিন্দু উৎসবে মন্দির বা ‘মন্ডপ’-এ গিয়ে উপাসনা করার সাধারণ রীতির বিপরীত।

(৬)       এটার আরেকটি দিক হল আধ্যাত্মিক বা অভ্যন্তরীণ অংশ। ঐতিহ্য অনুযায়ী রথযাত্রা হল এমন একটি প্রক্রিয়ার অংশ যার মাধ্যমে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর এবং মানবজাতি একে অপরের দিকে আধ্যাত্মিকভাবে যাত্রা করে ভক্তির পথে পুনরায় মিলিত হওয়ার জন্য। এই সমারোহ, রঙ এবং শোভাযাত্রা ঐশ্বরিক আনন্দের অনুভূতি এবং সর্বশক্তিমানের জন্য আধ্যাত্মিক আকাংক্ষাকে প্রতিফলিত করে। এই অনুভূতি এই বছরের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রযোজ্য, কারণ কোভিড মহামারীর জন্য দুই বছর ধরে রথযাত্রার আয়োজন বন্ধ ছিল।

(৭)        ধামরাইয়ের এই ঐতিহাসিক স্থানে এমন চমৎকার ঐতিহ্য বজায় রাখার জন্য সাহা পরিবার এবং কুমুদিনীকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের বিশ্বাস এবং আপনাদের অধ্যবসায়ের জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ।

(৮)       শেষ করার আগে, আমি এই বছরের বার্ষিক রথযাত্রা উৎসবে যোগ দিতে আসা সবাইকে আমার শুভেচ্ছা জানাই। এই উৎসবের উদযাপন বছরের পর বছর বাড়তে থাকুক এবং আমরা সকলের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি দেখার সৌভাগ্য লাভ করি।

()       অসংখ্য ধন্যবাদ

            ধন্যবাদ

***