কান্তজীউ মন্দিরে হাই কমিশনারের বক্তব্য বিবৃতি ও বক্তৃতা

কান্তজীউ মন্দিরে হাই কমিশনারের বক্তব্য

ভারতীয় হাই কমিশন

ঢাকা

কান্তজীউ মন্দিরে হাই কমিশনারের বক্তব্য

[২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯]

শ্রী মনোরঞ্জন শীল গোপাল, মাননীয় সংসদ সদস্য,

এডিসি

এসপি

ভদ্রমহিলা ও মহোদয়গণ

ঐতিহাসিক কান্তজীউ মন্দিরে এই উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। বাংলাদেশে টেরাকোটার সেরা নিদর্শন কান্তজীউ মন্দির। আবারও এখানে আসার সুযোগ পেয়ে আমি খুব আনন্দিত।

আমি শ্রী মনোরঞ্জন শীল গোপালকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাকে এখানে স্বাগত জানানোর জন্য এবং এত সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য।

কান্তজীউ মন্দির এবং নয়াবাদ মসজিদ আমাদের সম্মিলিত সংস্কৃতি এবং অভিন্ন ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আমি জেনেছি যে, শ্রমিকরা নয়াবাদ মসজিদটি তাদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য বানিয়েছিলেন। এই জাতীয় স্থাপনাগুলো বাংলাদেশে সকল বিশ্বাসের মধ্যে সম্প্রীতির জীবন্ত উদাহরণ।

বাংলাদেশের বহু-সাংস্কৃতিক ও জাতিগত বৈচিত্র্য সবসময় ধরে রাখতে হবে, কারণ বঙ্গবন্ধু এবং একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধারা এই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং প্রাণ দিয়েছিলেন। মহান মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান ও ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ, ভারতীয় সেনা হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা, পাঁচ বছরের ভিসা এবং মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি চালু করা হয়েছে।

ভারত ও বাংলাদেশের মাঝে একই ইতিহাস, সীমানা, ভাষা, সংস্কৃতি, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও সভ্যতার যোগসূত্র রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে এরকম সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবেই বিশেষত্ব লাভ করে।

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ককে এত বিশেষ করে তুলেছে আমাদের মানুষে মানুষে যোগাযোগ। দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগই এই সম্পর্কের চালিকা শক্তি। সম্পর্কের এই দিকটি আরও এগিয়ে নিতে আমরা বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, ভারতে সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করেন বাংলাদেশীরা। বাংলাদেশে আমাদের মিশন ২০১৮ প্রায় ১৫ লাখ ভিসা দিয়েছে। আমরা বাংলাদেশে ১৫টি ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালু করেছি।

যে কেউ বলতে পারেন যে, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে এটি অনেকটাই সত্য। এখন সবাই বলেন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আজকে আগের যেকোন সময়ের চেয়ে। ভাল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী একে বলেছেন ‘সোনালী অধ্যায়’।

আমাদের সৌভাগ্য যে, দুই দেশেই এমন কিছু রাজনৈতিক নেতা রয়েছেন যারা আমাদের জনগণ, দেশ এবং এই অঞ্চলের সুবিধার জন্য এই সম্পর্ক আরও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে কাজ করতে ইচ্ছুক।

আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শীঘ্রই ভারত সফর করবেন। আমরা আশা করি, তাঁর সফর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

সামনেই দুর্গাপূজা। প্রার্থনা করি, পূজা ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের জন্য শান্তি, সুখ ও আনন্দ বয়ে আনুক। আমি সকলের প্রতি আহবান জানাই, আপনারা দেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ এবং ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী করার জন্য কাজ করুন।

****