বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘে ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার বক্তব্য বিবৃতি ও বক্তৃতা

বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘে ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার বক্তব্য

ভারতীয় হাই কমিশন

ঢাকা

বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘে ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার বক্তব্য

[২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮]

পূজনীয় সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরো

সভাপতি, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ,

শ্রী পি. আর. বড়ুয়া

সিনিয়র সহ সভাপতি,

. প্রণব কুমার বড়ুয়া

সাধারণ সম্পাদক,

সম্মানিত ভিক্ষু এবং সংঘের প্রবীণ সদস্যগণ,

ঢাকার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট সদস্যবৃন্দ,

ধর্মরাজিক মঠের সদস্যগণ,

নমস্কার!


ধর্মরাজিক বিহারে প্রথমবার এসে আমি খুবই খুশি হয়েছি।

বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সাথে ভারতীয় হাই কমিশনের সম্পর্ক অনেক দিনের।

আমি ঢাকা ও বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবাইকে আন্তরিক শুভ কামনা জানাই।

বৌদ্ধ ধর্ম ও দর্শন ভারত ও বাংলাদেশের সভ্যতার প্রথম সংযোগ।

ভগবান বুদ্ধের জীবন ও শিক্ষা আমাদের নীতিবোধের অংশ, যা আমাদের সমাজকে আলোকিত করে।

মহান বৌদ্ধ পণ্ডিত ও দার্শনিক অতীশ দীপঙ্কর বিক্রমপুরের বজ্রযোগিনী গ্রামে জন্ম নিয়েছিলেন।

আজ আমি এখানে অতীশ দীপঙ্করের পবিত্র স্মৃতিচিহ্ন দেখেছি। তিনি শান্তি, সমবেদনা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় আমাদের একই ঐতিহ্যের উজ্জ্বল রূপ।

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের একটা বিশাল অংশ বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। বাংলাদেশের সংবিধান সব ধর্মের অনুসারীদের জন্য সমান অধিকার দিয়েছে। দেশের উন্নয়নে আপনারাও সমান অংশীদার।

আপনারা ভারত ও বাংলাদেশের অসাধারণ বন্ধন।

বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কল্যাণে সংঘের কাজ প্রশংসাজনক।

ভারতীয় হাই কমিশন সংঘের যে সব কাজে সহযোগিতা করেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে:

একটি দোতলা লাইব্রেরি ও ডাইনিং হল নির্মাণ।

লাইব্রেরি ও ডাইনিং হলের জন্য আসবাব।

বুদ্ধগয়াতে সংঘকে ভারত সরকারের দেয়া জমিতে সীমানা নির্মাণের জন্য সহযোগিতা।

অনাথ আশ্রমে বার্ষিক সহায়তা।

স্কুলের ল্যাবরেটরির জন্য উপকরণ।

বিভিন্ন দাতব্য কাজে আর্থিক সহায়তা।

ভারতে প্রাতিষ্ঠানিক ও ধর্মীয় সম্মেলনের জন্য ভ্রমণ সুবিধা।

তীর্থভ্রমণের জন্য ভিসা সুবিধা ইত্যাদি।

ভারতীয় হাই কমিশন রামুর ধ্বংসপ্রাপ্ত বৌদ্ধ বিহার পুনর্নিমাণ করতেও সহায়তা করেছে।

আজকে আমি ধর্মরাজিক পাঠাগার উদ্বোধন করতে পেরে খুবই খুশি। এটি ধর্মরাজিক বিহারের উন্নত সেবা প্রদানে সহায়ক হবে।

আজকে অনাথাশ্রমের ছাত্রাবাস তৈরি করার জন্য আমরা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি, আমি এতে খুবই আনন্দিত। সময়মত এই কাজ শেষ করতে আপনাদের সহযোগিতা চাই আমরা।

ভারতীয় হাই কমিশন বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষের কল্যাণে সহায়তা করবে সব সময়।

সবশেষে, আমি পূজনীয় সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরোকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে এখানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। আমরা সবার জন্য তাঁর আশির্বাদ করছি।

নমস্কার!

****