বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরে ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার বক্তব্য বিবৃতি ও বক্তৃতা

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরে ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার বক্তব্য

ভারতীয় হাই কমিশন

ঢাকা

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরে ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার

বক্তব্য

অধ্যাপক এম. আবদুস সোবহান, উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়;

বিশেষ অতিথি  জনাব ফজলে হোসেন বাদশা, সাংসদ, রাজশাহী সদর;

বিশেষ অতিথি জনাব মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, মেয়র, রাজশাহী সিটি করপোরেশন;
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, উপ-উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়;
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ, কোষাধ্যক্ষ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়;

বিশেষ অতিথি অধ্যাপক এম এ বারী, রেজিস্ট্রার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়;

অধ্যাপক ড. সুলতান আহমেদ, পরিচালক, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর (আয়োজক);

শ্রী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সহকারী হাই কমিশনার, রাজশাহী

এবং

ভদ্রমহিলা ও মহোদয়গণ,

নমস্কার,

আজ এই ঐতিহ্যবাহী ভবনে আসতে পেরে আমি খুব খুশি। প্রত্যেকেরই প্রতিদিন এই ১০৫ বছরের জাদুঘর দেখার সুযোগ হয় না। কিছুক্ষণ আগে আমরা ভারত সরকারের সহায়তায় বরেন্দ্র জাদুঘরের তৃতীয় তলার উদ্বোধন করলাম।

এই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের মত একটি বহুপ্রাচীন ও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে পুরাতন বই এবং পাণ্ডুলিপিগুলির অমূল্য সংগ্রহ সংরক্ষণের স্থান তৈরি এবং গবেষকদের কাছে উন্নততর সুযোগ সুবিধা প্রদান।  আমি খুশি যে, এই প্রকল্প সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে এবং  আশা করি, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম উপকৃত হবে। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, আমরা বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে আর্থ-সামাজিক খাতে কিছু প্রকল্প গ্রহণ করেছি।

২০১৭ সালে, রাজশাহী নগরীর টেকসই উন্নয়নে ২১ দশমিক ৯৫ কোটি টাকা প্রদানের জন্য ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। যার মধ্যে রয়েছে রাজশাহী সাংস্কৃতিক সংঘের অবকাঠামো পুনর্গঠন; একটি গ্রন্থাগার (পদ্মা লাইব্রেরি) নির্মাণ; জলাশয়ের সংরক্ষণ; শহরের বিভিন্ন সড়কের পাশে ফুটপাত নির্মাণ এবং শহরে কয়েকটি মন্দির সংরক্ষণ।  আমি  আনন্দের সাথে জানাতে চাই যে, আজ সকালে আমি এসব স্থানগুলোর কয়েকটি পরিদর্শন করেছি এবং দেখেছি যে কাজ সন্তোষজনকভাবে এগিয়ে চলছে ।

বন্ধুগণ,

আমরা ভারতে নিজেদের সমৃদ্ধিকে বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সাথে সম্পৃক্ত বলে বিবেচনা করি। এই চেতনায়, ভারত সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে। গত পাঁচ বছরে, ভারত সরকার ১১০ কোটি টাকার মোট ২৪টি প্রকল্প সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে ১৪০০ কোটি টাকার ৬৩টি প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে পানি শোধনাগার, কমিউনিটি সেন্টার, স্কুল, অনাথাশ্রম, হোস্টেল প্রভৃতি, যেগুলো মানুষের জীবনে গুণগত পরিবর্তন এনে দেয়। আমরা আরও কিছু করতে পারলে খুশি হব। গত বছর ঢাকা সফরকালে আমাদের বিদেশ মন্ত্রী যে কথা বলেছিলেন আমি তার পুনরাবৃত্তি করছি, “প্রতিবেশীই প্রথম এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশ সবার আগে” (“পড়োসি পেহলে, অউর পড়োসি মে বাংলাদেশ সবসে পেহলে’’)। যা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সত্যিকারের অনুভূতির বহি:প্রকাশ।

পরিশেষে, আমি এই উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য বরেন্দ্র জাদুঘরের কর্মকর্তা ও আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি এই মহিমান্বিত প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।

সবাইকে ধন্যবাদ এবং নমস্কার।

****