Women‘s Hostel_1.1 বিবৃতি ও বক্তৃতা

Women‘s Hostel_1.1

শুভ সকাল, নমস্কার। ধন্যবাদ প্রফেসর ড. এস কে পাল-দা, মনোজ দেবরয় সাহেব এবং আরও ধন্যবাদ জানাই সহকারী হাইকমিশনার মহোদয়কে তার সহযোগিতার জন্য।

সবাইকে শুভ সকাল এবং কমিটির সদস্যগণ, বিশেষ করে আমাদের সকল তরূণীকে আমার প্রণাম জানাই।

চালিবন্দরে উমেশচন্দ্র-নির্মলবালা ছাত্রাবাস প্রাঙ্গণে ভারত সরকারের আর্থিক সহায়তায় নির্মিত এই পাঁচতলা মহিলা হোস্টেলের উদ্বোধন করতে সিলেটে এসে আমি আনন্দিত। আমি স্বর্গীয় শ্রী নিকুঞ্জ বিহারী গোস্বামী এবং স্বর্গীয়া শ্রীমতি সুহাসিনী দাসকে তাদের দূরদৃষ্টি ও দর্শনের জন্য শ্রদ্ধা জানাই এবং আরও শ্রদ্ধা জানাই কমিটির অন্য সকল সদস্যকে যারা এই প্রকল্পে ২ বছর ধরে দক্ষতার সাথে অবদান রেখেছেন।

আমি জানতে পেরেছি, উমেশ চন্দ্র-নির্মলবালা ছাত্রবাস ট্রাস্ট এই মহিলা হোস্টেলটিকে সম্পূর্ণরুপে অলাভজনকভাবে পরিচালনা করবেন এবং এই হোস্টেলে ১৬০ জন ছাত্রী থাকতে পারবেন। যেমনটা দেব রায় জি উল্লেখ করেছেন, আমরা খুব শীঘ্রই নতুন হোস্টেল ভবনের জন্য আসবাবপত্র সরবরাহ চূড়ান্ত করার অপেক্ষায় আছি।

বন্ধুগণ,
এই জায়গাটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব সকলের পরিচিত এবং মহাত্মা গান্ধীর অনুসারী শ্রী নিকুঞ্জ বিহারী গোস্বামী ও শ্রীমতি সুহাসিনী দাসের অবদান এই সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্যের অংশ। আমি জেনে খুশি হলাম যে অনেক ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার এবং বিসিএস অফিসার এই প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক হয়েছেন। আমরা শিক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে বই প্রদান করার মাধ্যমে এই ঐতিহ্যকে সমর্থন করতে পেরে খুশি হব।

ভারতের পররাষ্ট্রনীতির একটি মূল উপাদান হল উন্নয়ন সহায়তা। উন্নয়নের প্রতি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি মূলত জনমুখী এবং সেটা সম্মান, বৈচিত্র্য, ভবিষ্যতের প্রতি ভালবাসা এবং টেকসই উন্নয়নের দ্বারা সূচিত। আমি অত্যন্ত খুশি যে, আগামী বছরগুলিতে, এই হোস্টেলটি সিলেট এলাকার, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের অনেক ছাত্রীর উপকারে আসবে।

তিনটি বিষয় উল্লেখ করতে চাইঃ
(ক) শিক্ষা হল সেই সর্বোত্তম অধিকার, যা আমরা আমাদের সন্তানদের দিতে পারি। সুতরাং, একটি সম্প্রদায় তার ভবিষ্যতের জন্য সেরা যে বিনিয়োগটি করতে পারে তা হল তার সন্তানদের, বিশেষ করে তার তরুণীদের শিক্ষিত করা।

(খ) শিক্ষিত, ক্ষমতাসম্পন্ন এবং আত্মবিশ্বাসী নারীরা সমাজের উন্নতি ঘটিয়ে থাকেন।
(গ) একতা, আত্মবিশ্বাস ও জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা যেকোনো সম্প্রদায়ের চরিত্র ও অবস্থানকে শক্তিশালী করে।

বন্ধুগণ,

বাংলাদেশের সংবিধানে সকল ধর্মের অনুসারীদেরকে তাদের লিঙ্গ নির্বিষেশে সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। দেশের উন্নয়নে আপনারাও সমান অংশীদার।

বন্ধুগণ, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতির এক অভিন্ন বন্ধন এবং আমরা প্রতিশ্রুতিশীল বন্ধু ও প্রতিবেশি হিসেবে বাংলাদেশের পাশে আছি।

পরিশেষে, আমি আপনাদের সকলকে আপনাদের দেশের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য কাজ করার এবং বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করার জন্য আহ্বান জানাতে চাই। এটা আপনাদের দেশ, আপনাদের মাতৃভূমি; আপনাদের অধিকার ও কর্তব্য এ সমাজে আপনাদের দাবি থেকে উৎসারিত। আমি এই পরামর্শ দিয়ে শেষ করছি যে, আপনারা একটি ট্রাস্ট ফান্ড স্থাপনের কথা বিবেচনা করতে পারেন যার মাধ্যমে এই সংস্থাটির রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভবপর হবে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সবাইকে ধন্যবাদ!