ইফতার আয়োজনে হাই কমিশনারের বক্তব্য বিবৃতি ও বক্তৃতা

ইফতার আয়োজনে হাই কমিশনারের বক্তব্য

ইফতার আয়োজনে হাই কমিশনারের বক্তব্য:

মো: ফরিদুল হক খান, ধর্মবিষয়ক মাননীয় প্রতিমন্ত্রী,

সম্মানিত অতিথিবৃন্দ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,

১. আজকের ইফতারে আপনাদের প্রত্যেককে স্বাগত জানাতে পারাটা আমার জন্য পরম সৌভাগ্যের। পবিত্র রমজান মাস বছরের একটি বিশেষ সময়, এবং এই উপলক্ষ্যে আপনাদের সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পেরে আমি সম্মানিত।

২. ইফতার হলো প্রতিফলন, কৃতজ্ঞতা ও সম্মিলিত অধিকারের একটি সময়। এটি এমন একটি সময় যখন জগতের সকল স্তরের মানুষ আহার ভাগাভাগি করে নিতে, গল্প সহভাগিতা করতে ও জীবনের আশীর্বাদ উদ্‌যাপন করতে একত্রিত হয়। এটি এমন একটি সময়, যা আমাদেরকে সেই সকল মূল্যবোধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যেগুলো আমাদের সকল বিশ্বাস ও সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থলে রয়েছে - সহানুভূতি, সহমর্মিতা ও উদারতা।

৩. আমরা আজ এখানে একত্রিত হয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার গভীর বন্ধনের কথা স্মরণ করছি। আমাদের দুই দেশের রয়েছে একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং একটি গভীর সাংস্কৃতিক সংযোগ, যা আমাদের জনগণের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিফলিত হয়।

৪. আমাদের সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও সমঝোতার নীতির ওপর বিনির্মিত। আমরা সর্বদা প্রয়োজনের সময়ে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং আমাদের জনগণের উন্নতির জন্য একসঙ্গে কাজ করেছি। আমরা সাফল্যের আনন্দ ও শোকের দুঃখ সহভাগিতা করে নিয়েছি এবং সর্বদা একে অপরের মঙ্গলের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।

৫. আজ আমরা এখানে একসঙ্গে আহার করার জন্য একত্রিত হয়ে এই বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বন্ধনকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি। আমরা বিশ্বাস করি যে, এই ইফতার-এর মতো আয়োজনসমূহ সহনশীলতা, সহানুভূতি ও অন্তর্ভুক্তির প্রতি আমাদের যৌথ অঙ্গীকারের শক্তিশালী প্রতীক হিসেবে কাজ করতে পারে। এগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আমাদের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, আমরা সবাই একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের অংশ যা আমাদের সর্বজনীন মানবতা দিয়ে ঐক্যবদ্ধ।

৬. বাংলাদেশে আমাদের যে সকল ভাই ও বোনেরা রমজান পালন করছেন, তাঁদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানানোর এই সুযোগটি আমি গ্রহণ করতে চাই। এই পবিত্র মাসটি আপনাদের এবং আপনাদের পরিবারের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি এবং সুখ বয়ে আনুক৷ এটি আমাদের যৌথ মূল্যবোধ ও মহত্তর সমঝোতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার বিষয়ে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার কথা আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিক৷

৭. পরিশেষে, আজ সন্ধ্যায় আমাদের সঙ্গে যোগদান করার জন্য এবং এই ইফতার আয়োজনটিকে সত্যিই স্মরণীয় করে তোলার জন্য আমি আপনাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা যেন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করতে পারি এবং সবার জন্য আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের লক্ষ্যে কাজ করতে পারি।

ধন্যবাদ।