High Commissioner’s remarks at Sher-e-Bangla Foundation চলমান ঘটনাবলী

শের-ই-বাংলা ফাউন্ডেশনে হাই কমিশনারের বক্তব্য

logo

ভারতীয় হাই কমিশন

ঢাকা

 

শের-ই-বাংলা ফাউন্ডেশনে  হাই কমিশনারের বক্তব্য

 [চাখারবানারীপাড়াবরিশাল; ০৭ অক্টোবর ২০১৮]

অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুসএমপিবরিশাল-২

জনাব এ কে ফাইয়াজুল হক রাজুসভাপতি, শের-ই-বাংলা ফাউন্ডেশন

প্রিয় বন্ধুগণ!

নমস্কার! 

আমি আজ শের-ই-বাংলা ফাউন্ডেশনে আসতে পেরে খুব খুশি। 

আমি জানি অনেকেই এখানে অপেক্ষা করছিলেন এবং আমাকে না দেখে হতাশ হয়েছিলেন।

বরিশাল বিভাগের গত সফরকালে, আমার সময়সূচিতে অপ্রত্যাশিত বিলম্বের কারণে আমি এখানে সময় দিতে পারিনি।

এই কারণে, আমি জনাব এ কে ফাইয়াজুল হক রাজুকে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে এই এলাকা পরিদর্শন করবো বলে কথা দিয়েছিলাম।

আজকে শের-ই-বাংলা  জাদুঘর পরিদর্শন করে আমি খুবই অভিভূত হয়েছি।

শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক (১৮৭৩-১৯৬২) তাঁর সময়ের এক জনপ্রিয় গণনেতা ছিলেন।

১৯১৬ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় অনেক ভারতীয় নেতার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন।

ঔপনিবেশিকতার প্রতিবাদে, তিনি ব্রিটিশ সরকারের দেয়া সমস্ত খেতাব ও নাইটহুড বর্জন করেছিলেন। বরং, তিনি শের-ই-বাংলা (বাংলার বাঘ) নামে জনপ্রিয় ছিলেন।

অত্যন্ত শিক্ষিত একজন ব্যক্তি এবং সফল আইনজীবী, শের-ই-বাংলা সকলের জন্য শিক্ষাবিষয়ক সুযোগ প্রদানের কাজ নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন ছিলেন। তিনি বরিশাল অঞ্চলে এবং ঢাকায় বিভিন্ন শিক্ষা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রতিষ্ঠা করেন।

তাঁর জনগণের প্রতি ভালবাসা তাঁকে এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে চালিত করেছিল।

রাজনৈতিক ও উন্নয়নের কাজ তাঁর উত্তরাধিকার পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।

আমি জেনে খুব খুশি হয়েছি যে, শেরে-ই-বাংলা ফাউন্ডেশন তাঁরই সুযোগ্য দৌহিত্র জনাব এ কে ফাইয়াজুল হক রাজুর সভাপতিত্বে এই অঞ্চলের জনগণ ও সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

আমি শের-ই-বাংলা ফাউন্ডেশন এবং এর চেয়ারম্যান এই এলাকার জনগণের জন্য তাঁদের সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের সাফল্য কামনা করি। 

****