Speech by High Commissioner at the Bangladesh Travel and Tourism Fair চলমান ঘটনাবলী

বাংলাদেশ ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম ফেয়ারে হাই কমিশনারের বক্তব্য

ভারতীয় হাই কমিশন

ঢাকা

বাংলাদেশ ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম ফেয়ারে হাই কমিশনারের বক্তব্য

১৯ এপ্রিল ২০১৮


বাংলাদেশের মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব তোফায়েল আহমেদ এমপি,

বাংলাদেশের মাননীয় বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী জনাব এ. কে. এম. শাহজাহান কামাল এমপি,

জনাব তৌফিক উদ্দীন আহমেদ, সভাপতি, ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ,

শ্রী জে. পি. , আঞ্চলিক পরিচালক (পূর্ব), ইন্ডিয়া ট্যুরিজম কলকাতা

মঞ্চে উপবিষ্ট অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিবর্গ

ভদ্রমহিলা ও মহোদয়গণ,

ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত বাংলাদেশ ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম ফেয়ার ২০১৮-তে অংশ নিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত আমরা ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রণালয়, পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন, ত্রিপুরা পর্যটন এবং নেপাল পর্যটন বোর্ড ও থাইল্যান্ড পর্যটন কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানাতে ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এ যোগ দিয়েছি

. গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের পর্যটন ক্ষেত্র অনেক বিকশিত হয়েছে বাংলাদেশের মানুষের গড় মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির সাথে সাথে বাংলাদেশ থেকে দেশের ভেতরে, প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোতে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এটি বাংলাদেশের পর্যটন খাতের সাথে প্রতিবেশী দেশসমূহের বিশেষত ভারতের সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে

. আমি উল্লেখ করতে চা্ই যে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পর্যটক ভারত ভ্রমণ করেছে এই সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে কারণ আমরা বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভিসা সহজতর করছি ভারতীয় ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া আরও সহজ ও ঝামেলামুক্ত করতে ভারতীয় হাই কমিশন অনেক অভূতপূ্র্ব উদ্যোগ নিয়েছে যার ফলস্বরূপ ২০১৫-২০১৭ এই দুই বছরে ভারতীয় ভিসা প্রদানের সংখ্যা সাড়ে সাত লাখ থেকে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ১৪ লাখ হয়েছে

. আমি আরও উল্লেখ করতে চাই যে, ভারতীয় পর্যটকদের জন্য বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার গভীর সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ঐতিহাসিক সংযোগের কারণে ভারত থেকেও বাংলাদেশে আসা পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, সুন্দরবনের বদ্বীপ, চট্টগ্রাম পার্বত্য এলাকার অকৃত্রিম সৌন্দর্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় পর্যটকদের আকৃষ্ট করার প্রধান চাবিকাঠি এছাড়াও দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গা, কুষ্টিয়াতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, রাজশাহীতে বরেন্দ্র জাদুঘর, বরিশালে পদ্মা নদীর বুকে নৌবিহার সবই ভারতীয় পর্যটকদের আকর্ষণ করে

. ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত সংযোগ উন্নয়ন উভয় পক্ষের একটি প্রধান গুরুত্বের বিষয় গত বছর দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে খুলনা ও কলকাতা রুটে -একটি নতুন যাত্রী পরিবহনের উদ্বোধন করেন এবং কলকাতা-ঢাকা রুটে মৈত্রী এক্সপ্রেস যাত্রীদের জন্য প্রান্তিক অভিবাসন ও কাস্টমস সুবিধা ঘোষণা করেন এছাড়াও রাধিকাপুর (ভারত) ও বিরল (বাংলাদেশ) রেল সংযোগ পুন:স্থাপন করা হয়েছে যার মাধ্যমে ১৯৬৫ পূর্ববর্তী দু’দেশের মধ্যকার ছয়টি রেল সংযোগের মধ্যে চারটি পুন:স্থাপিত হয়েছে ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে একটি নতুন বাস সার্ভিসও চালু হয়েছে গত বছর গত বছর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত উপকূলীয় ও প্রটোকল রুটে প্যাসেঞ্জার এবং ক্রুজ সেবা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক উভয় দেশের মধ্যে পর্যটন ব্যবস্থাকে অধিকতর সহজ করবে

. পণ্য পরিবহণ ও জনগণের যাতায়াত সহজতর করার জন্য আমরা সীমান্তে বাণিজ্য ও অভিবাসন পরিকাঠামো উন্নত করছি। ভারত পেট্রাপোল-বেনাপোল ও আগরতলা-আখাউড়া সীমান্তে ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনগুলোকে (এলসিএস) ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টে (আইসিপি) উন্নীত করেছে। আগস্ট ২০১৭ থেকে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে সার্বক্ষণিক কার্যক্রম শুরুর ফলে এই স্থল সীমান্ত দিয়ে কার্গো চলাচল সুগম হয়েছে ভারত সরকার আরও সাতটি ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনের অবকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা করছে যার মধ্যে ডাউকি আইসিপিতে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে, এই সব উদ্যোগ মানুষে মানুষে সংযোগ আরও শক্তিশালী করবে এবং আমাদের দু’দেশের মধ্যে পর্যটকদের চলাচল সহজতর করবে।

. আমরা দুই দেশের মধ্যে কনস্যুলার সুবিধা সম্প্রসারণের দিকেও নজর দিচ্ছি। গুয়াহাটিতে একটি নতুন বাংলাদেশী সহকারী হাই কমিশন ইতোমধ্যে চালু হয়েছে। শীঘ্রই সিলেট ও খুলনায় নতুন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসব উদ্যোগ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মানুষের যাতায়াত সহজতর করবে

. আমি নিশ্চিত যে বাংলাদেশ ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম ফেয়ার ২০১৮ পর্যটন শিল্প অংশীদার, পরিষেবা প্রদানকারী, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা এবং শুধু ভারত-বাংলাদেশ থেকে নয় বরং এ উপমহাদেশের পর্যটকদের একত্রিত করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও কাজ করবে। আমি ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য সেইসাথে আমি অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করছি

ধন্যবাদ সবাইকে

****